কুরবানীর মাংসকে কুরআন ও হাদিসে ৩ বাগে বাগ করতে বলা হয়েছে ,যেমন ,তুমার পরিবারের জন্য এক বাগ , এক বাগ পারাপ্রতিবেশীর জন্য আরেক বাগ অসহায় ফকির মিসকিন দেড় জন্য।
কোরবানির মাংস কয় ভাগে ভাগ করতে হয় এবং কিবাবে বন্টন করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
ঈদুল আজহার তাৎপর্য:
হাদীছে এসেছে যে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন বলেছেন তুমরা কুরবানী করো আমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আর সেগুলি যদি তুমরা আমার দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী পালন করে তাক তাহলে সেটা আমার কাছে পৌঁছাবে।
কারণ হলো আমি তুমাদের কুরবানীকে নয় বরং তুমাদের নিয়তের দিকে তাকাই তুমাদের নিয়ত সহি তাকলে আমি সেটা কবুল করে তাকি,সুতরাং ,তুমরা আল্লাহর দেয়া হুকুম অনূযায়ী কুরবানীর মাংসকে বন্টন করো তাহলে সেটা আল্লাহ কবুল করবেন কোরবানির গোশত সংরক্ষণ করে কতদিন খাওয়া যাবে।
কুরবানীর মাংসকে অনেকদিন সংরক্ষন করে খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে অনেক মতবিরুধ রয়েছে ,যেমন কেউ কেউ বলেছেন যে কুরবানীর মাংসকে অনেক দিন ধরে সংরক্ষন করে খাওয়া যাবে।
আর এ বিষয়ে মহানবী সা ;বলেছেন যে তুমরা তিনদিনের বেশি কুরবানীর মাংস কে সংরক্ষন করে রেখোনা কারণ এটা আল্লাহর কাছে পৌঁছে বেনা।
অমুসলিমদের কুরবানির মাংস দেওয়া যাবে কি:
কুরবানী হলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য এক দৃষ্টান্ত মূলক পরীক্ষা যার দ্বারা আমরা আমাদের এমনি পরিককে উত্তিন্ন হতে পারি।
যেমন ; হযরত ইব্রাহিম আ;নিজ পুত্রকে কুরবানী করে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্টকরার জন্য টিক তেমনি আমাদের কে ও বলা হয়েছে যে প্রত্যেক প্রাপ্ত্য বিয়ষ্ক মুসলমান নর নারীকে আল্লাহর রাস্তায় চতুষ্পদ জন্তুকে কুরবানী দিতে হবে।
আর কুরবানীর মাংসকে প্রত্যেক প্রতিবেশীকে ব্যাগ করে দিতে হবে আর সেটা যদি কুনু অমুসলিম ও হয় তাকে ও দেয়া যাবে।
ঈদুল আজহার তাৎপর্য ও আমাদের করণীয়:
ঈদুল আজহার তাৎপর্য:
ঈদুল আজহা (কুরবানির ঈদ) ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব, যা প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয়। এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের স্মৃতিকে স্মরণ করে।
১. কুরবানির ইতিহাস:
আল্লাহ হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে স্বপ্নে তাঁর প্রিয় বস্তু কুরবানি করার নির্দেশ দেন। ইব্রাহিম (আ.) তাঁর পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কুরবানি করার জন্য প্রস্তুত হন, কিন্তু আল্লাহর রহমতে ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানি হয় (সুরা আস-সাফফাত, ১০২-১০৭)।
এই ঘটনা মুসলমানদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষা দেয়।
২. আধ্যাত্মিক তাৎপর্য:
ঈদুল আজহা কেবল পশু কুরবানির আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি আত্মসমর্পণ, ত্যাগ ও ইখলাস (আন্তরিকতা)-এর প্রতীক।
হজ্জ পালনকারীরা এই দিনে মিনায় কুরবানি দেন, যা হজ্জের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকন।
আমাদের করণীয়:
১. কুরবানি আদায়:
সামর্থ্যবান মুসলিমদের উপর কুরবানি ওয়াজিব। গরু, উট, ছাগল বা ভেড়া শরিয়তসম্মত নিয়মে কুরবানি করতে হবে।
গোশত তিন ভাগে বিভক্ত করে এক ভাগ গরিব-অসহায়কে, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে এবং এক ভাগ নিজ পরিবারের জন্য রাখা সুন্নত।
২. ঈদের নামাজ আদায়:
সকালে ঈদগাহে বা মসজিদে দুই রাকাত ঈদের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করা।
৩. তাকবির পাঠ:
জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ" তাকবির পাঠ করা।
৪. সদকা ও ভালো কাজ:
গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা, আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় করা এবং সমাজের কল্যাণে অংশগ্রহণ করা।
৫. আত্মশুদ্ধি:
ঈদের আনন্দের পাশাপাশি গিবত, অহংকার, হিংসা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা এবং আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করা।
৬. আল্লাহর শুকরিয়া আদায়:
আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
উপসংহার:
ঈদুল আজহা আমাদেরকে ত্যাগ, সহমর্মিতা ও আধ্যাত্মিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। এটি কেবল উৎসব নয়, বরং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম। তাই যথাযথ ইখলাস ও সুন্নত অনুযায়ী এই দিনটি পালন করা প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য।